বিজ্ঞানীগণ ধারনা করেন, প্রায় ১৩৭৫ কোটি বর্ষব্যাপী আমাদের এ মহাবিশ্বটি মহাশূন্যে
ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়েছে। তারা শক্তিশালী টেলিস্কোপের মাধ্যমে মহাবিশ্বে প্রায় ১০০ কোটি গ্যালাক্সির অবস্থান
নিরুপণ করতে সমর্থ হয়েছেন। প্রায় প্রতিটি গ্যালাক্সিতে আবার ২০,০০০ কোটি নক্ষত্রের আনাগোনা রয়েছে। এতেই শুধু শেষ নয় প্রতি নক্ষত্রের সাথে আছে তার গ্রহ, উপগ্রহ, গ্রহাণু ও ধূমকেতুসহ
অগণিত জানা-অজানা মহাজাগতিক বস্তু ও আলোর-বিকিরনের সমাহার।
এবার চৌদ্দশত বছর পূর্বের
কথা একটু চিন্তা করা যাক। উপরের তথ্যগুলো তখনকার মানুষগুলোকে বলা হলে, রূপকথা ছাড়া কিছুই মনে করতো না। চৌদ্দশত বছর পূর্বে
মানুষের মন পৃথিবী, সৌরজগৎ কিংবা ছায়াপথসমূহ
সম্পর্কে কোনো ধরনের স্বচ্ছ ধারণা করতে অক্ষম ছিল। এমতাবস্থায় কুরআন কুরআন মাজিদে বলা হয়, “আল্লাহ তা’আলা সকল বিশ্বের অধিপতি” যা পৃথিবী ব্যতীত আরও একাধিক বিশ্বের উপস্থিতির সাক্ষ্য বহন
করে। বস্তুত ‘সকল বিশ্বের অধিপতি’ কথাটি কুরআন মাজিদে সর্বমোট ৭৩ বার দেখা যায়।
إِذْ قَالَ
لَهُ رَبُّهُ أَسْلِمْ ۖ قَالَ أَسْلَمْتُ
لِرَبِّ الْعَالَمِينَ
স্মরণ কর, যখন তাকে তার পালনকর্তা বললেন, অনুগত হও। সে বলল, আমি সমগ্র বিশ্বপালকের অধিপতির
(এক আল্লাহর) অনুগত হলাম। (বাকারা ১৩১)
فَقُطِعَ
دَابِرُ الْقَوْمِ الَّذِينَ ظَلَمُوا ۚ وَالْحَمْدُ
لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ
অতঃপর জালেমদের মূল শিকড় কর্তিত হল। সমস্ত প্রশংসা আল্লাহরই জন্যে, যিনি সমগ্র বিশ্বজগতের
পালনকর্তা। (আন’আম ৪৫)
فَأْتِيَا
فِرْعَوْنَ فَقُولَا إِنَّا رَسُولُ رَبِّ الْعَالَمِينَ
অতএব তোমরা ফেরআউনের কাছে যাও এবং বল, আমরা সকল বিশ্বজগতের
পালনকর্তার রসূল। (আশ শুআরা ১৬)
এছাড়া সূরা আস সাজদাহর ২, হা-মীম আস সাজদাহর ৯, যুখরুফের ৪৬, সূরা হাক্কাহ’র ৪৩ নং আয়াতে “(আল্লাহ তা’আলা) সকল
বিশ্বের অধিপতি” প্রত্যয়টি উল্লিখিত হয়েছে।
বর্তমানে মানব সমাজ
এ ব্যাপারে সম্যক অবহিত যে, পৃথিবী ছাড়া আরও গ্রহ রয়েছে। এই বিষয়টি জানা গেছে কেবল টেলিস্কোপ আবিষ্কার ও অন্যান্য বৈজ্ঞানিক উৎকর্ষ সাধনের
মাধ্যমে। অথচ সর্বশক্তিমান সৃষ্টিকর্তা তার প্রিয়নবী
মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর উপর এই জ্ঞান অবতীর্ণ করেছেন মানুষ টেলিস্কোপ ও অন্যান্য বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতি আবিষ্কারের
বহু পূর্বে।
ফাইয়াজ আল-মুহাইমিন
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন