বৃহস্পতিবার, ১১ জুন, ২০১৫

পৃথিবীতে প্রাণের সঞ্চারণ

পৃথিবীতে কত কোটি বছর পূর্বে প্রথম প্রাণের সঞ্চারণ ঘটে তা বিজ্ঞান অনুমান করতে পারে, কিন্তু সন্দেহাতীতভাবে বলতে পারবে না (অনুমিত যে, পৃথিবীর ইতিহাসে প্রথম প্রানের উদ্ভব হয় ৩.৮৫ বিলিয়ন বছর আগে) Heterotroph, chemotroph organisms কিংবা Eubacteria, Archaebacteria, Stromatolites আর RNA-Virus-এর মধ্যে কোনটি আগে কোনটি পরে এবং অ্যাক্টচুয়ালি কখন সৃষ্টি হয়েছে তা নিয়ে আমরা আলোচনা করবো না পৃথিবীতে প্রথম প্রাণের আবির্ভাব কিভাবে ঘটেছে তা নিয়ে অল্প বিস্তর চিন্তা-ভাবনা করাই আমাদের বিষয়বস্তু

Fossil record অনুসারে কোন ফসিলকে এ পৃথিবীতে প্রাপ্ত প্রাণের প্রাচীনতম নিদর্শন হিসেবে বিবেচনা করা হয় তা এখন মোটামুটি সবারই জানাএ পর্যন্ত বৈজ্ঞানিক গবেষণায় প্রাপ্ত fossil record এর তথ্য অনুযায়ী এ পৃথিবীতে কোটি কোটি বছর পূর্বে আবির্ভূত Algae জাতীয় সামুদ্রিক এককোষী প্রাণীর fossil কে জীবনের প্রচীনতম নিদর্শন (Symbol, proof) হিসেবে গণ্য করা হয়

পৃথিবীতে প্রাণ সৃষ্টি সম্পর্কে বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক মতবাদ

১. বৈদ্যুতিক স্ফুলিঙ্গ
প্রথম যে সম্ভাবনার কথা বলা হয় সেটি হচ্ছে বজ্রপাতপ্রাচীন পৃথিবীর পরিবেশ ছিল খুব উত্তপ্ত, তাপমাত্রাও ছিল অনেক বেশীপরিবেশ ছিল অত্যন্ত বৈরী প্রকৃতির, সবসময় ঝড়, বৃষ্টি, বজ্রপাত লেগেই থাকতোসেসময়ের পরিবেশে প্রচুর পরিমাণে মিথেন, অ্যামোনিয়া এবং হাইড্রোজেন গ্যাস ছিল, প্রচন্ড বজ্রপাতের সময় পানির সাথে এই রাসায়নিক উপাদানগুলো যুক্ত হয়ে জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একক অ্যামিনো এসিড এবং সুগার তৈরী করলোএখানে বলে রাখা ভালো, প্রাণির কোষ গঠিত হয় প্রোটিন দিয়ে এবং প্রোটিন আসলে অসংখ্য অ্যামিনো এসিডের সমন্বয়েই তৈরী হয়আর সুগার হচ্ছে প্রাণির DNA RNA তৈরীর প্রধান উপাদান, যা রেপ্লিকেশনে ব্যবহৃত হয়অর্থাৎ বংশবৃদ্ধির মূল উপাদান ও তৈরী হয়ে গেল
এই সম্ভাবনার কথা বহুদিন মানুষের কাছে অজানা ছিলকিন্তু ১৯৫৩ সালে মিলার উরে পরীক্ষার মাধ্যমে দেখানো হয় যে প্রাচীন পৃথিবীর মূল উপাদানের সাথে বৈদ্যুতিক সংযোগের ফলে জীবনে মূল উপাদান তৈরী সম্ভব, এবং পরবর্তীতে মূল উপাদান থেকে অপেক্ষাকৃত জটিল জৈবিক অণু তৈরী-ও সম্ভবফলে লক্ষ বছরের ব্যবধানে প্রাণের উদ্ভব খুব বিস্ময়কর কিছু না
প্রাচীন পৃথিবীতে বৈদ্যুতিক বজ্রপাত অবশ্য প্রাচীন পৃথিবীতে প্রাণ তৈরীর উপযোগী হাইড্রোজেন ছিল অনেক কম তাই ধারণা করা হয় ভস্মীভূত মেঘই মূলত হাইড্রোজেন গ্যাসকে ধরে রাখতোঅর্থাৎ, এই তত্ত্ব আমাদেরকে বলেপ্রাচীন পৃথিবীর জলাশয়েই মূলত প্রাণের প্রথম কণা তৈরী হয়েছিল

২. গোষ্ঠীভুক্ত কাদাময় পরিবেশ
এ তত্ত্ব আমাদের বলে, প্রাণের প্রথম উপাদান জলাশয়ে নয় বরং জল ও মাটির মিশ্রণে যে কাদা তৈরী হয়, সেরকম কোন একটা জায়গায়স্কটল্যান্ডের গ্ল্যাসগো ইউনিভার্সিটির জৈব রসায়নের অধ্যাপক আলেক্সান্ডার গ্রাহাম ক্রেইন্স স্মিথ প্রাণের উদ্ভব সম্পর্কিত এই মতবাদকে প্রতিষ্ঠা করেন তিনি বলেন যে কাদাময় মাটির গঠন প্রাণের গাঠনিক উপাদান গুলোকে শুধুমাত্র একত্র করেছে তাই না বরং একটি আকার দান করেছে এর উপাদান সমূহকে, যেভাবে DNA আমাদের দেহ গঠনে অণুগুলো কীভাবে একের সাথে অন্য অণু সজ্জিত হবে তার নির্দেশ দান করে DNA-এর মূল কাজ হচ্ছে অনুগুলো কীভাবে বিন্যস্ত হবে তার তথ্য ধরে রাখাঠিক একইভাবে প্রাচীন পৃথিবীর পৃষ্ঠে স্তরে স্তরে সজ্জিত কাদামাটির ছাঁচ অ্যামিনো এসিডগুলোকে ঐক্যবদ্ধ করেছে একটি নির্দিষ্ট সন্নিবেশেসময়ের পরিক্রমায় জৈব অণুগুলো নিজেরাই নিজেদের সন্নিবিষ্ট করে জটিল জৈবিক অণু সৃষ্টির সূচনা করে

৩. গভীর সাগরের গহ্বরে
এই তত্ত্ব আমাদের বলে, যে সাগরের নিচে যেসব আগ্নেয়গিরি ছিল সেখানে তাপমাত্রা ছিল অনেক বেশীআগ্নেয়গিরির জ্বালামুখ দিয়ে অনেক হাইড্রোজেন সমৃদ্ধ পদার্থ বেরিয়ে আসতোসাগরের তলদেশে নুড়িপাথরের কণাগুলো এইসব হাইড্রোজেন সমৃদ্ধ কণাগুলোকে বিক্রিয়ার মাধ্যমে একত্র করতে সাহায্য করেএই একত্রিত বহুসংখ্যক হাইড্রোজেন সমৃদ্ধ অণু পরবর্তীতে জটিল জৈবিক অণুর সৃষ্টি করেসাগরের নিচে এই জ্বালামুখগুলো এখনও সক্রিয় এবং এখানে সৃষ্ট এই জটিল জৈবিক অনুগুলো সেখানকার বাস্তসংস্থানেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে

৪. মেরু অঞ্চলের বরফের অভ্যন্তরে
প্রাচীন পৃথিবী পৃষ্ঠের তাপমাত্রা অনেক বেশী হলেও ৩০০ কোটি বছর আগে সূর্যের উজ্জ্বলতা ছিল এখনকার সূর্যের উজ্জ্বলতার প্রায় তিনভাগের একভাগমেরু অঞ্চলের বরফের গভীরতা ছিল ১০০ ফুট বা তারও বেশীএখানে বরফের কণার ফাকে ফাকে আটকে পড়া জৈবিক অণু সূর্যের অতিবেগুনী রশ্মি এবং কসমিক রশ্মি থেকে নিজেদের রক্ষার সুযোগ পায়এই আটকে পড়া অণুগুলো পরে একত্রিত হয়ে জটিল জৈবিক অণুর সৃষ্টি করে

৫. RNA-র পৃথিবী
বর্তমান সময়ে দেখা যায় যে, DNA তৈরী করতে প্রোটিন দরকার হয় আবার প্রোটিন তৈরী করতে দরকার হয় DNA. অর্থাৎ এরা একে অপরের প্রভাবক হিসেবে কাজ করেতাহলে প্রাচীন পৃথিবীতে কীভাবে এরা একে অন্যের সাহায্য ছাড়া তৈরী হলো? এর উত্তর হচ্ছে RNA. RNA একই সাথে DNA-এর মত তথ্য ধরে রাখতে পারে এবং একই সাথে প্রোটিনের মত এনজাইম হিসেবে কাজ করতে পারেএই RNA-ই পরবর্তীতে DNA এবং প্রোটিন তৈরী করেঅর্থাৎ এই তত্ত্ব আমাদের বলে যে, প্রাচীন পৃথিবীতে DNA এবং প্রোটিনের আগে শুধুমাত্র RNA সমৃদ্ধ প্রাণ ছিলপরে DNA এবং প্রোটিন সমৃদ্ধ প্রাণের জন্ম হয় কারণ এরা RNA-র চেয়ে বেশী কার্যকরীপ্রাণির দেহে RNA এখনও বিদ্যমান এবং এখনও এরা প্রাণির দেহে অবস্থান করে কিছু জিনকে সচল অথবা অচল করার কাজ করেঅর্থাৎ এরা কিছু জিনের কার্যক্রমের সুইচ হিসেবে কাজ করে

৬. সরলীকৃত অণু
এই তত্ত্ব মনে করে, পৃথিবীতে প্রাণ RNA-র মত জটিল অণু দিয়ে শুরু হয়অর্থাৎ প্রথমেই জিন সৃষ্টি হয়নিঅর্থাৎ রেপ্লিকেশনের ব্যাপারটা প্রথমদিকের প্রাণীদের ছিল নাঅতি সাধারণ কিছু রাসায়নিক বিক্রিয়ায় একত্রিত কিছু অণু প্রাণের মূল উপাদান সৃষ্টি করেকিন্তু একে ছড়িয়ে দেয়ার কোন পদ্ধতি প্রাচীন পৃথিবীর অণুগুলোর ছিল নাসাধারণ এই অনুগুলোই পরে সময়ের পরিক্রমায় বংশবৃদ্ধির পদ্ধতি, অর্থাৎ জিনভিত্তিক প্রাণের সূচনা করে
মজার ব্যাপার হলো, প্রত্যেক মতবাদে ভিন্ন ভিন্ন কথা থাকলেও, একটি মৌলিক মিল রয়েছেসেটি হলো-প্রাণের প্রথম উদ্ভবে অবশ্যই পানির অস্তিত্ব ছিলকোনো কোনো মতবাদে জলজ পরিবেশের কথা বলা হয়েছে আবার কোনো কোনো মতবাদে পানিকে প্রাণ উদ্ভবের জন্য শক্তির যোগানাদাতা (ব্যানারের মতবাদ) হিসেবে দেখানো হয়েছে

এখন দেখা যাক, প্রাণ সৃষ্টি সম্পর্কে কুরআন কী বলছে?

وَاللَّهُ خَلَقَ كُلَّ دَابَّةٍ مِنْ مَاءٍ ۖ فَمِنْهُمْ مَنْ يَمْشِي عَلَىٰ بَطْنِهِ وَمِنْهُمْ مَنْ يَمْشِي عَلَىٰ رِجْلَيْنِ وَمِنْهُمْ مَنْ يَمْشِي عَلَىٰ أَرْبَعٍ ۚ يَخْلُقُ اللَّهُ مَا يَشَاءُ ۚ إِنَّ اللَّهَ عَلَىٰ كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ
আল্লাহ্ সকল প্রকার প্রাণীকে সৃষ্টি করেছেন পানি থেকেতাদের কতক বুকে ভয় দিয়ে চলে, কতক দুই পায়ে ভর দিয়ে চলে এবং কতক চার পায়ে ভর দিয়ে চলে; আল্লাহ যা ইচ্ছা সৃষ্টি করেননিশ্চয়ই আল্লাহ সবকিছু করতে সক্ষম(আন নূর ৪৫)

কেবল একটি আয়াতে নয়আরো বহুস্থানে আল্লাহ প্রমাণ দিয়েছেন

الَّذِي جَعَلَ لَكُمُ الْأَرْضَ مَهْدًا وَسَلَكَ لَكُمْ فِيهَا سُبُلًا وَأَنْزَلَ مِنَ السَّمَاءِ مَاءً فَأَخْرَجْنَا بِهِ أَزْوَاجًا مِنْ نَبَاتٍ شَتَّىٰ অর্থাৎ তিনি তোমাদের জন্যে পৃথিবীকে বিস্তৃত করেছেন এবং তাতে চলার পথ করেছেন, তিনি আকাশ থেকে বৃষ্টি বর্ষণ করেছেন এবং তা দ্বারা আমি জোড়ায় জোড়ায় বিভিন্ন প্রকার উদ্ভিদ উৎপন্ন করেছি (আত ত্বা-হা ৫৩)

পানির স্পর্শে জীবনের সূত্রপাত ঘটেতাছাড়া সমস্ত জীবেরই দৈহিক গঠনে, জীবনের স্পন্দনে এবং জীবন ধারণের জন্য পানি অপরিহার্য এবং এর কোন বিকল্প নেইজীবনের স্পন্দনে পানির উপস্থিতিই যে একমাত্র পূর্বশত তা আজ একটি চরম বৈজ্ঞানিক সত্যকিন্তু আশ্চর্যের বিষয়, সেই ১৪৫০ বছর পূর্বেই ঐশী গ্রন্থ আল কুরআনে পৃথিবীতে প্রাণ সৃষ্টির বিষয়ে এই মৌলিক বৈজ্ঞানিক তথ্যটি সংক্ষেপে অথচ কত নিঁখুত ভাবেই না ব্যক্ত করা হয়েছে!
সূরা মুরসালাতের কয়েকটি আয়াতে মানব সৃষ্টি সম্পর্কে টেলিগ্রাফিক ইনফরমেশন দিতে গিয়ে আল্লাহ বলছেন-

أَلَمْ نَخْلُقْكُمْ مِنْ مَاءٍ مَهِينٍ
আমি কি তোমাদেরকে তুচ্ছ পানি থেকে সৃষ্টি করিনি ?
فَجَعَلْنَاهُ فِي قَرَارٍ مَكِين
অতঃপর আমি তা রেখেছি সংরক্ষিত আধারে
إِلَىٰ قَدَرٍ مَعْلُومٍ
এক নির্দিষ্ট কাল পর্যন্ত
فَقَدَرْنَا فَنِعْمَ الْقَادِرُونَ
অতঃপর আমি পরিমিত আকারে সৃষ্টি করেছি, আমি কত নিপুণ স্রষ্টা(মুরসালাত ২০-২৩)

সুতরাং আল-কুরআন ও বিজ্ঞানের তথ্যগুলো পর্যালোচনা করলে যেকোন বিবেকবান, চিন্তাশীলই বুঝতে পারে, মহাবিজ্ঞানময় সৃষ্টিকর্মের ধারাবাহিকতায় এই ভূপৃষ্ঠে এমন কিছু সময় অতিবাহিত হয়েছে যখন জীবনের কোন স্পন্দন ছিল না

بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ هَلْ أَتَىٰ عَلَى الْإِنْسَانِ حِينٌ مِنَ الدَّهْرِ لَمْ يَكُنْ شَيْئًا مَذْكُورًا
মানুষের উপর এমন কিছু সময় অতিবাহিত হয়েছে যখন সে উল্লেখযোগ্য কিছু ছিল না (ইনসান ১)
ফলে মানবসত্তা তথা সকল জীবিত সত্তাগুলো তখন প্রাণহীন অর্থাৎ অনুল্লেখযোগ্য অবস্থায় কাদামাটি (সাজদাহ ৭) অর্থাৎ তুচ্ছ (মুরসালাত ২০) পানি ও মাটির বিভিন্ন উপাদানসমূহের মিশ্রিত অতি সামান্য অংশের মাঝে প্রক্রিয়াধীন ও ধাপে ধাপে পরিবর্তনশীল অবস্থায় কালাতিপাত করছিল

বর্তমানে বিজ্ঞানের বদৌলতে আমরা জানতে পেরেছি যে, মানব দেহের গঠন ও বৃদ্ধির জন্য যে সমস্ত খনিজ উপাদান প্রয়োজন তার প্রায় সবই এই পৃথিবীর মাটিতেই পাওয়া যায়প্রকৃত প্রাণ সৃষ্টি করার জন্য যে শুধু গবেষণাগারই যথেষ্ট নয়, তা যারা বোঝার ঠিকই বুঝে নিয়েছেন

وَاللَّهُ أَنْبَتَكُمْ مِنَ الْأَرْضِ نَبَاتًا
আল্লাহ তাআলা তোমাদেরকে মৃত্তিকা থেকে উদগত করেছেন (সূরা নূহ ১৭)

তবে পানি এবং কাদামাটির (Clay) উপাদান থেকে যে জীবনের সূচনা হতে পারে তা নিয়ে অনেক আগে থেকেই গবেষণা চলছেঅতি সম্প্রতি একটি গবেষণায় প্রকাশিত হয়েছে-

The discovery of inorganic, semipermeable clay vesicles has shed light on how minerals could have played a key role in the origins of life.
”Clay-armored bubbles” form naturally when platelike particles of montmorillonite collect on the outer surface of air bubbles under water.
Scientists have studied montmorillonite, abundant clay, for hundreds of years, and the mineral is known to serve as a chemical catalyst, encouraging lipids to form membranes and single nucleotides to join into strands of RNA.
Because liposomes and RNA would have been essential precursors to primordial life, researchers have suggested that the pores in the clay vesicles could do double duty as both selective entry points and catalytic sites.
(The Soft Matter, Monday, February 7th, 2011)

সূরা আম্বিয়ার ৩০ নম্বর আয়াত থেকে পানি থেকে প্রাণ সৃষ্টির ইঙ্গিত দিয়ে আল্লাহ বলেন-

أَوَلَمْ يَرَ الَّذِينَ كَفَرُوا أَنَّ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضَ كَانَتَا رَتْقًا فَفَتَقْنَاهُمَا ۖ وَجَعَلْنَا مِنَ الْمَاءِ كُلَّ شَيْءٍ حَيٍّ ۖ أَفَلَا يُؤْمِنُونَ
কাফেররা কি ভেবে দেখে না যে, আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীর মুখ বন্ধ ছিল, অতঃপর আমি উভয়কে খুলে দিলাম এবং প্রাণবন্ত সবকিছু আমি পানি থেকে সৃষ্টি করলামএরপরও কি তারা বিশ্বাস স্থাপন করবে না?

মহাকালের প্রবাহের কোন এক পর্যায়ে বহুকোষী জীবজগৎ সৃষ্টির মত উপযুক্ত পরিবেশ গড়ে উঠলে নিয়ন্ত্রিত নির্দিষ্ট সময় ও প্রাকৃতিক পরিবর্তনের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নির্দিষ্ট সংখ্যক ক্রোমসোমের অধিকারী ও আল্লাহ প্রদত্ত জীন বাহিত সতন্ত্র বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন এক একটি সতন্ত্র প্রজাতির মাতৃ-জীবকোষ গঠন পর্যায়ক্রমে সম্পন্ন করে আল্লাহতায়ালার ইচ্ছায় সেগুলোর মধ্যে প্রাণের সঞ্চার করা হয়তেমনি মানব সৃষ্টির জন্য উপযুক্ত পরিবেশ গড়ে উঠলে, ২৩ জোড়া অর্থাৎ ৪৬টি ক্রোমসোমের অধিকারী মাতৃ মানবকোষ সৃষ্টি করা হয়

Faiyaz Al-Muhaimin

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন