রাসূলুল্লাহ (স) এর জামানায় মাত্র কয়েকটি গ্রহ খালি চোখে দেখা
যেত। ষোড়শ শতাব্দীতে গ্যালিলিও কর্তৃক টেলিস্কোপ আবিষ্কারের পর আবিষ্কৃত হয় আরো কয়েকটি গ্রহ। ইউরেনাস, নেপচুন এবং প্লুটো
নামক গ্রহ তিনটি আবিষ্কৃত হয় যথাক্রমে ১৭৮১, ১৮৪৬ এবং ১৯৩০ সালে। প্লুটো পর্যন্ত আবিষ্কৃত গ্রহের সংখ্যা নয়টি। কিন্তু আল কুরআনের শাশ্বত বাণী ও তথ্য অপরিবর্তিত রয়েছে। জ্ঞান-বিজ্ঞানের অগ্রগতির কষ্টিপাথরে তা হয়ে উঠেছে আরো দীপ্তিময়। মহাকাশের অগ্রগতিতে তা আরো ভাস্বর।
আমরা এতদিন জেনে এসেছি
সৌরজগতে গ্রহের সংখ্যা নয়টি। কিন্তু সম্প্রতি আবিষ্কৃত
হয়েছে আমাদের সৌরজগতে আরও গ্রহের অবস্থিতি। আল কুরআনের দিকে যদি এবার আমরা অনুসন্ধানী দৃষ্টি
নিয়ে তাকাই তবে আমরা দেখতে পাই মহাবিশ্বের সৃষ্টি ও ধ্বংস এবং জ্যোতির্বিজ্ঞান সম্বন্ধে
তত্ত্বসমৃদ্ধ বহু স্পষ্ট আয়াত। সূরা ইউসুফের ৪ নং আয়াতে বলা হয়েছে-
إِذْ قَالَ
يُوسُفُ لِأَبِيهِ يَا أَبَتِ إِنِّي رَأَيْتُ أَحَدَ عَشَرَ كَوْكَبًا
وَالشَّمْسَ وَالْقَمَرَ رَأَيْتُهُمْ لِي سَاجِدِينَ
যখন ইউসুফ পিতাকে বলল, পিতা, আমি স্বপ্নে দেখেছি এগারটি তারকাকে (কাওক্বাব) এবং সুর্য ও চন্দ্রকে। আমি তাদেরকে আমার
উদ্দেশে সেজদা করতে দেখেছি।
গভীরভাবে চিন্তা করলে
দেখা যাবে, চৌদ্দশত বছর পূর্বে আল কুরআনে সৌরজগৎ সম্বন্ধে এক মহাতত্ত্ব জানিয়ে দেয়া হয়েছে। এখানে লক্ষণীয়, আরবি كَوْكَبًا (কাওক্বাব) শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে। এই শব্দটি দ্বারা শুধু
তারকাকে বোঝায় না, যে কোনো জ্যোতিষ্ককেও বোঝায়। এই আয়াতে كَوْكَبًا
(কাওক্বাব) শব্দটি দ্বারা গ্রহকেই বোঝানো হয়েছে। কারণ, সূর্যের এবং চন্দ্রের সঙ্গে সম্পর্কিত জ্যোতিষ্কগুলো হল গ্রহ। কাজেই সৌরজগতে এগারটি গ্রহের অবস্থিতির কথাই আল কুরআন ঘোষণা করেছে।
এখন প্রশ্ন হলো, এ পর্যন্ত আবিষ্কৃত
গ্রহের সংখ্যা তো ৯টি (Mercury, Venus, Earth, Mars, Jupiter,
Saturn, Uranus, Neptune, Pluto)! কুরআনের কথা যদি সত্য হয়, তাহলে আর
দুইটি গ্রহ কোথায়?
আমেরিকার বৈজ্ঞানিকরা
সম্প্রতি আরো দু'টি গ্রহ আবিষ্কার করেছেন। দশম গ্রহটি যার নামকরণ করা হয়নি। ১৬০০০ এবং ৩২০০০ কিলোমিটার
দূরত্বের মধ্য থেকে সূর্যকে প্রদক্ষিণ করছে। পৃথিবীর ওজনের পাঁচগুণ ওজন বিশিষ্ট গ্রহটি ৭০০
বছরে একবার সূর্যকে প্রদক্ষিণ করে। অন্য গ্রহটি ছোট। এই গ্রহগুলোর আবিষ্কারের কথা ঘোষণা করেন নাসা'র বৈজ্ঞানিক জন এন্ডারসন, ইউরোপীয় জ্যোতির্বিদ ড. রিচার্ড ওয়েস্ট, ড. লুকওটস্কপ্যান্ডার।
‘ম্যালি’ নামের ছোট গ্রহটি
চার বছর চুরাশি দিনে সূর্যকে একবার প্রদক্ষিণ করে। এর কক্ষপথ মঙ্গল এবং বৃহস্পতি গ্রহের কক্ষপথের
মধ্যে অবস্থিত। জ্যোতির্বিজ্ঞানের এই চরম উন্নতির যুগে যা আবিষ্কৃত হয়েছে তা চৌদ্দশত বছর পূর্বেই
ঘোষণা করা হয়েছে আল-কুরআনে যখন বিজ্ঞান, টেলিস্কোপ কিছুই ছিল না।
Faiyaz Al Muhaimin
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন