উদ্ভিদের মধ্যে নারী-পুরষ ভেদ রয়েছে কিনা এটা দীর্ঘদিন পর্যন্ত রহস্যই ছিল। সর্বপ্রথম যিনি উদ্ভিদরে মধ্যে পুংলিঙ্গ
ও স্ত্রী লিঙ্গ থাকার কথা উল্লেখ করেছেন তিনি হলেন সুইডিশ বিজ্ঞানী কার্ল লিনে। খৃষ্টীয় অষ্টাদশ শতকের মাঝামাঝি সময়ে তিনি
এ মত প্রকাশ করেন। তার ওই বক্তব্যে
অনেকেই বিস্মিত হয় এবং তারা গীর্জার পাদ্রিদেরকে তার বিরুদ্ধে ক্ষেপিয়ে তোলে। ফলে কয়েক বছর ধরে ইউরোপে তার লেখনীকে ভুল
মতামত হিসেবে ধরা হত। কিন্তু এর কিছু কাল পরেই বিজ্ঞানীরা লিনের মতামতকে সত্য বলে স্বীকৃতি দেন এবং
তা একটি বৈজ্ঞানিক মূলনীতি হিসেবে গৃহীত হয়।
বিজ্ঞানের আবিষ্কারের আগে কে জানতো যে গাছেরও লিঙ্গ আছে? সে তো আল্লাহ মহান!
سُبْحَانَ
الَّذِي خَلَقَ الْأَزْوَاجَ كُلَّهَا مِمَّا تُنْبِتُ الْأَرْضُ وَمِنْ
أَنْفُسِهِمْ وَمِمَّا لَا يَعْلَمُونَ
পবিত্র তিনি যিনি যমীন থেকে উৎপন্ন উদ্ভিদকে, তাদেরই মানুষকে এবং যা তারা জানে না, তার প্রত্যেককে জোড়া জোড়া করে সৃষ্টি করেছেন। (সূরা ইয়াসিন ৩৬)
জোড়া অর্থাৎ পুরুষ আর স্ত্রী লিঙ্গ। এই আয়াতটি আমাদের বলছে, গাছপালারও লিঙ্গ রয়েছে। আজকের বিজ্ঞান প্রমাণ
করেছে, গাছপালারও লিঙ্গ থাকে। পুরুষ গাছ এবং স্ত্রী গাছ। এমনকি উভলিঙ্গ গাছে পুরুষ এবং মাহিলা অংশ আলাদা অবস্থায় থাকে।
Faiyaz Al Muhaimin
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন