আজকের বিজ্ঞান প্রমাণ করেছে, পৃথিবীর কেন্দ্র থেকে এর উপরিভাগ পর্যন্ত সাতটি স্তর রয়েছে। গঠনগত এবং কার্যগত দিক থেকে একটার সাথে আরেকটার কোন মিলই নেই। এই তথ্য আবিষ্কৃত হয়েছে অতি সম্প্রতি। অথচ সাড়ে চৌদ্দশত
বছর পূর্বে দৃপ্তকণ্ঠে বলেছে-সপ্তাকাশ যেমন রয়েছে, তেমনি জমিনেরও রয়েছে ৭টি স্তর। সূরা তালাক্বের ১২ নং আয়াতে বলা হয়েছে-
اللَّهُ الَّذِي خَلَقَ سَبْعَ سَمَاوَاتٍ وَمِنَ الْأَرْضِ مِثْلَهُنَّ
يَتَنَزَّلُ الْأَمْرُ بَيْنَهُنَّ لِتَعْلَمُوا أَنَّ اللَّهَ عَلَىٰ كُلِّ
شَيْءٍ قَدِيرٌ وَأَنَّ اللَّهَ قَدْ أَحَاطَ بِكُلِّ شَيْءٍ عِلْمًا
আল্লাহ সপ্তাকাশ সৃষ্টি করেছেন এবং পৃথিবীও
সেই পরিমাণে, এসবের মধ্যে তাঁর
আদেশ অবতীর্ণ হয়, যাতে তোমরা জানতে
পার যে, আল্লাহ সর্বশক্তিমান এবং সবকিছু তাঁর গোচরীভূত।
আয়াতটি আমাদের বলছে শুধু আসমানই নয়, বরং
পৃথিবীরও সাতটি স্তর রয়েছে। অপরদিকে বিজ্ঞান অতি সম্প্রতি ভূমির
যে ৭টি স্তর আবিষ্কার করেছে তা হলো-
১. Crust ২.
Lithosphere ৩.
Upper mantle
৪. Asrenosphere ৫. Lower mantle ৬. Outer core ৭. Inner core
(সূত্র: Robart Gardner, Samuel F, Allyn
and Bacon, Newton, Howe: General science-1885 Page-319-322)
৬১০ সাল থেকে কুরআন নাযিল শুরু হয়।
তখন মানুষ পৃথিবীর ব্যাসার্ধই জানতো না। তাদের পক্ষে ভূ-ভাগের এই স্তর সম্পর্কে
ধারণা করাই যখন অসম্ভব ছিল ঠিক সেই মুহুর্তে আল্লাহ মানুষকে জানিয়ে দিলেন তারা যে
জমিনের উপর বসবাস করছে তারা রয়েছে ৭টি স্তর।
Faiyaz Al Muhaimin
আমার এক ভাই যে একজন আলেম,এ বিষয়ে অন্য কিছু ধারণা করে।
উত্তরমুছুনআল্লাহ সপ্তাকাশ সৃষ্টি করেছেন এবং পৃথিবীও সেই পরিমাণে, এসবের মধ্যে তাঁর আদেশ অবতীর্ণ হয়, যেহেতু আল্লাহ বলেছেন জমিনের ৭টি স্তরেও তার আদেশ অবতীর্ণ হয়, তার ধারণা জমিনের নিচেও একটা জগৎ থাকতে পারে, যেখানে মানুষের মতো আরো প্রাণীর অস্তিত্ব থাকতে পারে। আমি বলেছিলাম, হয়তো এখানে আল্লাহ জমিনের ৭টি স্তরের কথাই বলেছেন।
তবে, "সেখানেও আল্লাহর আদেশ অবতীর্ণ হয়"এ কথাটার জন্য তার ধারণাটি অন্যরকম😑