সূরা মু’মিনুনের ১৩ এবং ১৪নং আয়াতের দিকে দৃষ্টিপাত করা যাক। সেখানে আল্লাহ বলেছেন-
ثُمَّ
جَعَلْنَاهُ نُطْفَةً فِي قَرَارٍ مَكِينٍ
অতঃপর আমি তাকে শুক্রবিন্দু রূপে এক সংরক্ষিত
আধারে স্থাপন করেছি।
ثُمَّ خَلَقْنَا النُّطْفَةَ
عَلَقَةً فَخَلَقْنَا الْعَلَقَةَ مُضْغَةً فَخَلَقْنَا الْمُضْغَةَ عِظَامًا
فَكَسَوْنَا الْعِظَامَ لَحْمًا ثُمَّ أَنْشَأْنَاهُ خَلْقًا آخَرَ ۚ
فَتَبَارَكَ اللَّهُ أَحْسَنُ الْخَالِقِينَ
এরপর আমি শুক্রবিন্দুকে জমাট রক্তরূপে সৃষ্টি করেছি, অতঃপর জমাট রক্তকে
মাংসপিন্ডে পরিণত করেছি, এরপর সেই মাংসপিন্ড থেকে অস্থি সৃষ্টি করেছি, অতঃপর অস্থিকে মাংস
দ্বারা আবৃত করেছি, অবশেষে তাকে নতুন রূপে দাঁড় করিয়েছি। নিপুণতম সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ কত কল্যাণময়!
কিছুদিন পূর্বেও ভ্রুণবিজ্ঞান জানতো যে, ভ্রুণের হাড় ও মাংসপেশী একই সময়ে তৈরী হয়। কিন্তু আধুনিক ভ্রুণবিজ্ঞান আবিষ্কার করেছে, “সাত সপ্তাহের মধ্যে
কঙ্কালের গঠন শেষ হয় এবং দেহের সবখানে ছড়িয়ে পরতে থাকে। এবং হাড় এর বিভিন্ন
আকৃতি ধারণ করে। অষ্টম সপ্তাহের দিকে মাংসপেশী গঠিত হতে থাকে যা হাড়ের চারপাশে অবস্থান নিতে
থাকে।” Keith
Moore (developing Human, 6 part)-1998
অর্থাৎ মানুষের জন্ম ঠিক সেভাবেই হয় যেভাবে কুরআনে বলা হয়েছে।
মার্কিন বিজ্ঞানী মার্শাল জনসন ভ্রুনতত্ত্ব সম্পর্কিত আয়াত প্রসঙ্গে বলেছেন, “ভ্রণের বিকাশের
পর্যায়গুলো সম্পর্কে কুরআনের এ বাস্তবতা অস্বীকার করা সম্ভব নয়। কুরআন হল দেড় হাজার
বছর আগের গ্রন্থ। সে সময় কোন মাইক্রোস্কোপের অস্তিত্ব ছিল না। তখনও মাইক্রোস্কোপ আবিস্কৃতই হয়নি। কুরআন নাজিলের বহু
বছর পরে যখন মাইক্রোস্কোপ আবিস্কৃত হল তখন ওই মাইক্রোস্কোপ কোন বস্তুকে ১০ গুণের বেশি
বড় করতে পারতো না এবং স্বচ্ছতাও কম ছিল কাজেই কুরআনের বাণী কোন মানুষের হতে পারে না।”
ফটোসিনথেসিস
কুরআনের একটি আয়াত তাফসীরকারকদের বেশ
চিন্তায় ফেলে দেয়।
وَالصُّبْحِ إِذَا تَنَفَّسَ-শপথ সকালের যখন
তারা দিনের আলোয় নিঃশ্বাস নেয়। (সূরা তাকভীর ১৮)
মানুষ ভাবতো এটা এমন কি হতে পারে যা দিনের
আলোয় নিঃশ্বাস নেয়! তখনো ফটোসিন-থেসিস প্রকিয়া আবিষ্কার হয়নি। লোকজন খুব অবাক
হয়ে ভাবতো এমন কিছুর কথা যা কেবল দিনের আলোই নিঃশ্বাস নেয়। কিন্তু তারা
খুজেঁ পেল না। এই পদ্ধতি মানুষকে জানালো এমন এক প্রক্রিয়ার কথা যেটা ব্যবহার
করে গাছ কার্বন ডাইঅক্সাইড শোষণ করার মাধ্যমে নিজের জন্য খাদ্য প্রস্তুত করে। একইসাথে অক্সিজেনকে পরিবেশে মুক্ত করে। এই প্রক্রিয়াটি
কেবল দিনের বেলাতেই ঘটে, যেহেতু আলো এখানে প্রভাবক হিসেবে কাজ করে।
অর্থাৎ গাছ কেবল দিনের বেলাতেই নিঃশ্বাস
ক্রিয়া চালায়। আর এ কথাটিই বলা হয়েছে পবিত্র কুরআনে। এখানে আল্লাহ তাআলা সরাসরি গাছের উল্লেখ করে আয়াতটি নাজিল করেননি। হয়তো কুরআনের আরো একটি মুজিজা মানবজাতির সামনে পেশ করার জন্যই মহান রব
টেলিগ্রাফিক ম্যাসেজ আকারেই আয়াতটি নাযিল করেছেন!
এটা নির্গত হয় মেরুদন্ড ও বক্ষপাজরের মধ্য থেকে। (৮৬ঃ০৭)
উত্তরমুছুনএই আয়াতের ব্যাখ্যা জানতে চাই।