প্রাচীন দার্শিনিক টলেমী বিশ্বাস করতেন, থিওরী অব জিওসেন্ট্রিজমে। এ মতবাদ অনুযায়ী- পৃথিবী
একদম স্থির, আর সূর্য সহ সব গ্রহ
নক্ষত্রগুলো ঘুরছে পৃথিবীর চারিদেকে। এ মতবাদটি ষোড়স শতাব্দী পর্যন্ত টিকে ছিলো। এরপর কোপার্নিকাস এসে
প্রমাণ করলেন, পৃথিবীসহ অন্যান্য
গ্রহগুলো সূর্যের চারিদেকে প্রদক্ষিণ করছে। বিগত শতাব্দীতেও মানুষ জানতো-সূর্য স্থির থাকে, এটি তার নিজ অক্ষের
চারপাশে প্রদক্ষিণ করে না! কিন্তু আজ এটা প্রমাণিত যে পৃথিবী ও সূর্য দুটোই গতিশীল। আর এদের দু’জনের রয়েছে আলাদা কক্ষপথ। অথচ কুরআন সাড়ে
১৪০০ বছর পূর্বে নিভুলভাবে এই তথ্য দিয়েছে মানুষকে।
وَهُوَ
الَّذِي خَلَقَ اللَّيْلَ وَالنَّهَارَ وَالشَّمْسَ وَالْقَمَرَ ۖ
كُلٌّ فِي فَلَكٍ يَسْبَحُونَ
তিনিই সৃষ্টি করেছেন রাত্রি ও দিন এবং সূর্য ও চন্দ্র। সবাই আপন আপন কক্ষপথে
পরিভ্রমণ করছে। (সূরা আম্বিয়া ৩৩)
শুধু একটি আয়াতে নয়। আরো বহু আয়াতে আল্লাহ এই আবর্তনশীলতার কথা বলেছেন।
وَالشَّمْسُ
تَجْرِي لِمُسْتَقَرٍّ لَهَا ۚ ذَٰلِكَ
تَقْدِيرُ الْعَزِيزِ الْعَلِيمِ
সূর্য তার নিজস্ব পথে আবর্তন করে। এটা পরাক্রমশালী, সর্বজ্ঞ, আল্লাহর নিয়ন্ত্রণ। (ইয়াসীন ৩৮)
মাত্র কিছুদিন আগে আধুনিক বিজ্ঞান প্রমাণ করেছে-সূর্য স্থির নয়; বরং গতিশীল এবং
২০ লক্ষ বছরে একবার তার নিজস্ব কক্ষপথে আবর্তন করে। আর, এর গতি ৭২০০০০ কিমি/ঘন্টা।
কুরআনের একটি আয়াতে বলা হয়েছে-
وَالسَّمَاءِ
ذَاتِ الْحُبُكِ
অর্থাৎ আকাশ, যা পথ ও কক্ষপথ দ্বারা পরিপূর্ণ। (সূরা যারিয়াত ৭)
এটি প্রমাণ করে যে, মহাবিশ্বের অন্য তারকারাজিও স্থির নয় বরং গতিশীল যার সাথে আধুনিক বিজ্ঞান একাত্বতা ঘোষণা করেছে।
Faiyaz Al Muhaimin
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন