اللَّهُ نُورُ
السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ ۚ مَثَلُ
نُورِهِ كَمِشْكَاةٍ فِيهَا مِصْبَاحٌ ۖ الْمِصْبَاحُ
فِي زُجَاجَةٍ ۖ الزُّجَاجَةُ كَأَنَّهَا كَوْكَبٌ دُرِّيٌّ يُوقَدُ مِنْ شَجَرَةٍ مُبَارَكَةٍ
زَيْتُونَةٍ لَا شَرْقِيَّةٍ وَلَا غَرْبِيَّةٍ يَكَادُ زَيْتُهَا يُضِيءُ وَلَوْ
لَمْ تَمْسَسْهُ نَارٌ ۚ نُورٌ
عَلَىٰ نُورٍ ۗ يَهْدِي اللَّهُ لِنُورِهِ مَنْ
يَشَاءُ ۚ وَيَضْرِبُ اللَّهُ الْأَمْثَالَ
لِلنَّاسِ ۗ وَاللَّهُ بِكُلِّ شَيْءٍ
عَلِيمٌ
আল্লাহ নভোমন্ডল ও ভুমণ্ডলের নূর। তার নূরের উদাহরণ যেন এক কুলঙ্গি, যাতে আছে এক প্রদীপ, প্রদীপিট একটি কাচপাত্রে
আবদ্ধ। কাচপাত্রটি নাশপতি
ফল বা পৃথিবীর আকৃতির। যাকে প্রজ্জলিত করা হয়, পবিত্র বৃক্ষের তেল দ্বারা, যা পূর্বমূখী নয় এবং পশ্চিমমুখীও নয়। যার তেল আলোর ঠিক নিকটে থাকে, যদিও অগ্নি উহাকে
স্পর্শ করতে পারে না। জ্যোতির উপরে জ্যোতি। আল্লাহ যাকে ইচ্ছে পথ দেখান তার জ্যোতির দিকে। আল্লাহ মানুষের জন্য দৃষ্টান্ত সমূহ বর্ণনা
করেন এবং আল্লাহ সর্ববিষয়ে জ্ঞানী। (আন নূর ৩৫)
কার সাথে তুলনা করেছেন মহান আল্লাহ এই আয়াতে? এটা কি আধুনিক যুগের ইলেকট্রিক বাল্ব নয়? যা দেখতে পৃথিবীর
মতই গোলাকার, কাচপাত্রে আবদ্ধ, যার তেল হচ্ছে ইলেকট্রন
কনা, যার আলো সমভাবে
ব্যাপ্ত হয় (কোন নির্দিষ্ট দিকে নয়) আর প্রজ্জলনের সময় এই তেলটা শিখার একেবারে কাছই
থাকে, কিন্তু এই তেলে
কখনো আগুন লাগে না।
দেড় হাজার বছর আগের কোন মানুষ যে ইলেকট্রিক
বাল্ব দেখেনি, ইলেকট্রন
এর বৈশিষ্ট জানে না তাকে এর থেকে সহজ আর যৌক্তিক উপায়ে ইলেকট্রিক বাল্ব সম্বন্ধে ধারনা
দেয়া সম্ভব?Faiyaz Al Muhaimin
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন